আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম হল অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী. মূলত এটি একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ. রোগ নিরাময় থেকে শুরু করে রূপচর্চায়ও এর বহুবিধ ব্যবহার দেখা যায়. অ্যালোভেরার বাংলা অর্থ ঘৃতকুমারী.তবে সবার নিকট অ্যালোভেরা নামেই বেশি পরিচিত. এর গাছ দেখতে ফনিমনসা এর মত.
ছয় হাজার বছর আগে মিশরে এর উৎপত্তি ঘটে.
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট এর মতে প্রায় 75 টি সক্রিয় উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরাতে.এদের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ, সুগার, অ্যামাজন, অ্যামিনো এসিড, স্যালিসিলিক এসিড এছাড়াও এতে ভিটামিন বি ফলিক এসিড রয়েছে.
এলোভেরার উপকারীতা:-
১| এলোভেরা শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দেই। ফলে এটি ত্বকে বয়সের ছাপ পরতে দেই না।
২| এলোভেরা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। এটি তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩| এলোভেরা শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য,গ্যাস্ট্রিক ও আলসার দূরীকরণে উপকারে আসে।
৪| এলোভেরা খাওয়ার ফলে এটি হজম শক্তি বাড়ায়।
৫| এলোভেরা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এলোভেরা খাওয়ার ফলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৬| এলোভেরা খাওয়ার ফলে এটি হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুতন্তু সবল রাখতে সাহায্য করে। সব টক্সিন দূর করে দেয়।
৭| এলোভেরা ত্বকের অনেক উপকারে আসে। যেমন- এটি ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখে, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে, কুচকানো ত্বককে টানটান করে।
৮| এলোভেরা মুখের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
৯| এলোভেরা দিয়ে শরবত তৈরিকৃত খাওয়ার ফল্র এটি শরীরকে অনেক বেশি সতেজ রাখে।
১০| এলোভেরা ত্বকের মেছতা দূর করে দেয়। এটি মুখের তিল ও দানাদানা ভাব দূর করে।
১১| এলোভেরার জুস অনেক উপকারে আসে। এলোভেরার জুস খাওয়ার ফলে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। এলোভেরা পেটের বাড়তি মেদ ও গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
১২| এলোভেরা চুলে ব্যবহারের ফলে এটি চুল পরা রোধ করে পাশাপাশি চুল অনেকটাই সিল্কি করে।