মধুর উপকারিতা

মধুর যত উপকারিতা অবশ্যই জানার প্রয়োজন রয়েছে

স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সকল রোগ নিরাময়ে মধুর উপকারিতা অপরিসীম. মানুষের জন্য আল্লাহ এর দেয়া প্রদত্ত একটি নেয়ামত।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মধুকে খাইরুদ্দাওয়া বা  সকল রোগের  ঔষধ বলেছেন. আয়ুর্বেদ ইনানী চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও মধুকে সকল রোগের নিরাময় বলা হয়. সীমিত মধু খেলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়. দূর শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভিতরে বাহিরে যে কোন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ প্রতিরোধ করে. প্রাচীনকাল থেকে মধুর ব্যবহার দেশে ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার হয়ে আসছে. শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় এশিয়ার অসংখ্য দেশে সকাল শুরু হয় মধুর হাত ধরে.প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে খালি পেটে চা চামচের 2 চামচ করে মধুর ডান হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেতে খেতে হবে.

নিয়মিত ও পরিমাণগত মধু সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে তা হল:

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • হজম শক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করেন
  • দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে
  • কাশি, হাঁপানি ,গলা ব্যথা দূর করে
  • ঠান্ডাজনিত রোগে বিশেষ উপকার করেন
  • দাঁত কে শক্তিশালী ও পরিষ্কার করে
  • গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের জন্য উপকারী
  • রক্ত পরিশোধন করে
  • মাথা ব্যথা দূর করে
  • শিশুদেরওজন বৃদ্ধি ও দৈহিক গঠন বৃদ্ধি করে
  • মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
  • গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের জন্য অনেক উপকারী
  • মধু খাওয়ারসাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়,শরীরে হয়ে ওঠে সতেজ এবং কর্মক্ষম


মধু খাওয়ার উপকারিতা:



মধু সেবনের রয়েছে অনেক উপকারিতা,এটি যেমন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে তেমনি প্রতিরোধেও সহায়তা করে. মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখে.যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করেন তারা খাদ্য তালিকায় মধু রাখতে পারেন.যাদের চা-কফি নেশা রয়েছে তারা এসবের বদলে মধু খেলে শরীরের জন্য খুব উপকারী হয় এবং শরীরের দুর্বলতা কমায়. এক কথায় বলতে গেলে মধুর উপকারিতা অপরিসীম.



হজম শক্তি বৃদ্ধিতে মধুর উপকারিতা:



ভুতের রয়েছে ডেক্সট্রিন , তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে.   যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম শক্তি বৃদ্ধি করে. যাদের পেটের সমস্যা থাকে সেই সব মানুষদের জন্য মধু বিশেষ উপকারী.হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে. মধু পেটের পীড়া সমস্যা দূর করে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে.




রক্তশূন্যতা এবং রক্ত পরিষ্কার করতে মধুর উপকারিতা:



মধু রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং এটি রক্তশূন্যতায় বিশেষ ভূমিকা রাখে.
কারণ এতে থাকে লৌহ,ম্যাঙ্গানিজ এবং  কপার. মধু রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে.
প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক পা দু চামচ মধু এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়.তাছাড়াও মধু আমাদের দেহের ভিতর রক্তনালীগুলোকে বহিষ্কার করেন.




ওজন কমাতে কাজ করে:



মধুতে চর্বির পরিমাণ নাই বললেই চলে.ফলে চর্বি কমায় ওজন কমায় এবং পেট পরিষ্কার করে.
যাদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বা মেদের পরিমাণ বেশি তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটেএক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ মধু এবং লেবুর রস সাথে মিক্স করে খেলে ওজন হ্রাস করা সম্ভব.



রূপচর্চার ক্ষেত্রে মধুর উপকারিতা:



মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,  অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে. অন্যদিকে রূপচর্চা সময় মধু ব্যবহার করলে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালাভাব দূর হয়. মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোবায়োটিক, পুষ্টি উপাদান এসব একত্রে ত্বককে মসৃণ করে টানটান ভাব ও সুন্দর রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন.



যৌন দুর্বলতা দূর করতে মধুর উপকারিতা :



পুরুষদের মধ্যে যাদের জন্য রয়েছে তারা প্রতিদিন ভবিষ্যতের ছোলা ভিজিয়ে খেলে কি উপকার পাওয়া সম্ভব. মোদিকে দুই পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে.



মধু খাওয়ার নিয়ম:



অনেকভাবেই মধু খাওয়া যায় বা খাওয়ার প্রক্রিয়া রয়েছে. অজুন গাছের ছালের গুঁড়ো সাথে মিশিয়ে মধু খাওয়া যায় থাংস খাওয়া যায়. তবে বেশি তাপমাত্রায় মধুর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায় এমনকি ক্ষতিকারক হতে পারে.তাই গরম চায়ের সাথে বা গরম পানির সাথে মধু খাওয়া ঠিক নয়.দৈনিক কয়েক ভাবে মধু খাওয়া যায় যেমন:

লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়.
ঘুম থেকে উঠে পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর সতেজ হবে.
খালি পেটে বা ভরা পেটে মধু খাওয়া যায় তবে খেয়াল রাখতে হবে বেশি তাপমাত্রায় মধু না খেতে কারণ বেশি তাপমাত্রায় মধুর নষ্ট হয়ে যায় তাই অবশ্যই রান্নায় মধু ব্যবহার করা যাবে না.

Leave a Comment