রসুনের উপকারিতা

রসুন যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী আপনি জানতে পারলে অবাক হয়ে যাবেন!

রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে. সেলেনিয়াম ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে.অ্যালিসিন নামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে রসুনে,এটি ক্যান্সারসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে.অন্যদিকে রসুন কৃমি নাশ করতে,প্রস্রাবের সমস্যা দূরীকরণ,হাইপার টেনশন কমাতে,চুল ঝরে পরা রোধ করতে,চুল পাকানো কমাতে,হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে. এক কথায় বলা যায়, রসুন আমাদের শরীরের জন্য সুপার মেডিসিন হিসেবে কাজ করে.

প্রাচীন ইতিহাস দেখলে বুঝতে পারবেন, বিভিন্ন অসুখ সারানোর জন্য রসুনের ব্যবহার হতো.৷ গ্রিক, রোমান, মিশরীয়, ব্যাবিলনীয় সভ্যতায় রসুনকে  ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো.বিশ্বজুড়ে রসুন বাণিজ্যিক ভেষজ হিসেবে সফল. কাঁচা রসুন ভেষজ গুণ এর জন্য বেশি উপকারী.রসুনে রয়েছে থিয়ামিন (ভিটামিন বি১), রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২), নায়াসিন (ভিটামিন বি৩), প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (ভিটামিন বি৯) ও সেলেনিয়াম. সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুনের ভূমিকা :

রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ একে অনেকটা ওষুধের মতোই তৈরি করেছে, যার দরুন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়. প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেলে মানব শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়.খালি পেটে রসুন খেলে এর উপকার বেশি পাওয়া যায়.

সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুনের গুণাবলী অপরিসীম :

মানুষের শরীরের যেকোনো সময়ে সংক্রমণ হতে পারে .সংক্রামক রোগ এমন অবস্থা হয়েছে যার কোনো পূর্ব লক্ষণ থাকে না . খালি পেটে প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন খেলে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব.

ত্বক ভালো রাখতে রসুনের ভূমিকা :

ত্বকের সমস্যা কমবেশি সবারই রয়েছে , ত্বকের সমস্যা নিয়ে প্রায় সময় মানুষ চিন্তিত থাকে. ত্বকের সমস্যা দূর করতে রসুনের  উপকারিতা অপরিসীম. প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে ত্বক ভালো থাকে.অন্যদিকে চেহারায় কোন দাগ থাকলে নিমিষে কমে যায়.

হাড়ের শক্তি বাড়াতে  রসুনের ব্যবহার :

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নারীদের হাড়ের শক্তি কমে যায়,সাথে দেখা  দেয় হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা. প্রতিদিন 2 গ্রাম রসুন খেলে এ সকল সমস্যা অনেকটা কমে যায়. যে নারীদের  মেনোপজ হয়ে গেছে ,তারা নিয়মিত রসুন খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব. 
ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুনের উপকারিতা:

ভোজপুরি সমস্যা প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে. যেমন এলার্জি সমস্যা,ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে.যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রসুন পিষে রস খেলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব.অন্যদিকে চায়ের মত করে হলুদ গুঁড়া গরম পানি দিয়ে সাথে রসুন খেলে সংক্রমণ থাকেনা.আর প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন খেলে ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে.

মানবদেহে রক্ত পরিশোধিত করতে রসুনের উপকারিতা :

নীরোগ দেহের জন্য সাবলীল রক্ত চলাচল অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়.
দৈনিক  অন্তত তারপর ওষুধ খেলে শরীরের রক্তচাপ কমায়.অন্যদিকে টোটাল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল প্রায় 10 থেকে 15 শতাংশ কমে যায়.

রসুন বিভিন্ন রকমের খাওয়া যায়, রসুনের গুন পেতে সকালে খালি পেটে খাওয়া উত্তম. অ্যাজমার জন্য রসুন অনেক উপকারী. তবে অতিমাত্রায় রসুন খাওয়া ঠিক নয়. অপারেttশনের আগে বা পরে রসুন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা. রসুন বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে, তবে দেশি এককোষী রসুন মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ভালো. স্বাস্থ্য রক্ষায় সকল বয়সি মানুষের কমবেশি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রসুন রাখার প্রয়োজন রয়েছে. 

Leave a Comment