গরুর দুধ খাওয়ার উপকারিতা, প্রতিদিন দিন কি দুধ খাওয়া উচিত

গরুর দুধ বলতে বাজারের প্যাকেটজাত যে দুধ রয়েছে সেই দুধের উপকারিতার কথা আমি বলছি না, যে দুধগুলো বাজারে পাওয়া যায় তার মধ্যে হাজার ধরনের কেমিক্যাল রয়ে যায়, প্রাকৃতিক ভাবে গরু থেকে যে দুধ আমরা সংগ্রহ করি তার ছিটেফোটা উপাদানও বাজারের কেনা তরল দুধে থাকে না।
তাই বন্ধুরা কষ্ট করে হলেও আমরা খাবার সময় গরুর তরল দুধ সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। যেটা প্রাকৃতিক ভাবে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

গরুর দুধের উপকারিতাঃ

গরুর দুধ এমন একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান, যার মধ্যে উপস্থিত থাকে খাদ্যের প্রায় ৬ টি উপাদানই। আমিষ, শর্করা, খনিজ, ভিটামিন, চর্বি ও পানি।
দুধ এমন একটি উপাদান যা আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু গরুর দুধ এমন একটি উপাদান যে খাবারটি খাবার এর মাধ্যমে আমরা বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদানের অভাব পূরণ করে ফেলতে পারি।
এখন আপনাদের গরুর দুধের এমন কিছু উপকারিতার কথা বলব যা শুনলে আপনারা আশ্চর্য হয়ে যাবেন,
এক কাপ গরুর দুধে আমরা যদি তিন কাপ সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পান করি তারপরেও শরীরের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

বাজারে কেনা গরুর দুধের চেয়ে আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না গরুর দুধে কি পরিমান ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য কতটা জরুরি
হাড়ের গঠন শক্ত রাখতে গরুর দুধের কার্যকারিতাঃ
গরুর দুধ আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন শক্ত করার পাশাপাশি পেশীকে শক্ত-সামর্থ্য রাখতে সহায়তা করে। দেহের দৈহিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশে গরুর দুধ কিন্তু অকল্পনীয়ভাবে কাজ করে থাকে।
শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধের বিকল্প হিসাবে গরুর দুধের কাজঃ
এমন অনেক শিশু মায়ের গর্ভ থেকে জন্মলাভ করে যারা সাধারণত মায়ের বুকের দুধে যথেষ্ট হয়না। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করার পরেও ৬ মাস বয়সের পরে যদি মা থেকে পর্যাপ্ত দুধ না পাওয়া যায় তাহলে আমরা গরুর দুধ কে মায়ের বুকের বিকল্প দূত হিসেবে শিশুর খাদ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারি। এবং সেটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রমানিত যে শিশুর হজমক্রিয়া তে তখন কোনো ব্যাঘাত ঘটে না।
শরীরের আমিষের অভাব পূরণ করতে গরুর দুধের ভূমিকাঃ
গরুর দুধ আমাদের শরীরের আমিষের অভাব পূরণ করে, চর্বির অভাব পূরণ করে এবং পানিস্বল্পতা দূর করে।
ঘুমের সমস্যা সমাধান করতে গরুর দুধের গুরুত্বঃ
নিয়মিত দুধ পান করার কারণে আমাদের ঘুম স্বাভাবিক হয়। রাতে ঘুমাবার আগে এই জন্য এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া উচিত।

ত্বকের প্রসাধনী হিসেবে গরুর দুধের উপকারিতাঃ
গরুর দুধ ত্বকের প্রসাধনী হিসেবে দারুণ ভাবে কাজ করে। আমরা ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের প্যাক তৈরি করি। ফেইস প্যাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হিসেবে আমরা দুধ ব্যবহার করতে পারি। এটা ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের যত্ন কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে।
নোটঃ অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে ফেইস প্যাকে দুধ ব্যবহার না করায় ভালো।
হরেক রকম মুখরোচক খাবার বানাতে গরুর দুধের ভুমিকাঃ
বর্তমানে গরুর দুধ ছাড়া তো বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার বা নাস্তার কথা কল্পনা করাও যায় না।
সাবধানতাঃ যাদের লিভার সেরোসিসের মত জঠিল সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে গরুর দুধ পরিহার করা ভালো।
তাই আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি প্রকৃতির হাজারো আশীর্বাদ এর মধ্যে গরুর দুধ কিন্তু মানুষের জন্য অকল্পনীয় একটি আশীর্বাদ সেটি খাবারের সাথে সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই এই কথাই যুক্তিযুক্ত।

Leave a Comment