ডিম হল এমন একটি শব্দ যা অনেক পুষ্টি উপাদান নিহত প্রেমে অধিক পরিমাণে প্রোটিন এবং পুষ্টি আমিষ থাকার কারণে ডিমকে পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে শিশু থেকে কিশোর বৃদ্ধ সকলের জন্যই ডিম একটি অপরিহার্য উপাদেয় খাদ্য বলা হয়ে থাকে যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খান। নিয়মিত প্রতিদিন খুব সকালে একটি করে ডিম খেলে আপনি সারাদিন কাজ করার ক্ষমতা লাভ করবে তাছাড়া টানা তিন মাস ডিম খেলে আপনি শরীরে ৩ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমাতে সক্ষম হবেন। নিয়মিত ডিম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে।
আসুন জেনে নিই ডিমের আরো কিছু উপকারিতা।
১। হাড় সুদৃঢ় করে এবং দেহে শক্তি যোগান দেয়
ডিমের মধ্যে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকার কারণে এটি প্রসব পূর্ব বিকাশে ভূমিকা রাখে অতিশিগ্রই শিশুদের বাহার ও সাধারণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং হারকে সুদৃঢ় করে। অন্যদিকে আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম করার জন্য প্রচুর শক্তি দরকার হয়ে থাকে প্রতিদিন সকালবেলা একটিমাত্র ডিম খেয়ে থাকি তাহলে ডিমে থাকা ভিটামিন ডি আমাদের খাবারের ইমোজি তে পরিণত করে আমাদেরকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।
২। বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ওজন কমাতে ডিমের উপকারিতা।
সিদ্ধ ডিম খেলে তার মধ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট আমাদের বেশি ক্যালোরি খরচ করতে সহায়তা করে। এই উচ্চপুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের খাবার অতি সহজে হজম হয় এবং পুষ্টি প্রক্রিয়াকরণ এ বেশি ক্যালোরি ব্যয় হয়। এটি যেমন আমাদের অতিরিক্ত ক্যালরি যোগান দেয় ঠিক তেমনি এটি চর্বিবিহীন প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। তাই এটি শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ করে না শক্তি প্রদান করে। যদি আপনি একটি সুসিদ্ধ ডিম এবং সবজি খান তাহলে আপনার শরীরে ২৭৪ ক্যালোরি শক্তি যোগান হয় ।
৩। নতুন কোষ গঠনে ডিমের উপকারিতা
ডিম একটি উচ্চ পুষ্টি গুণ সম্পন্ন খাদ্য। ডিমের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা আমাদের নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এই ফলেটের অভাবজনিত কারণে রক্তস্বল্পতা হয়। ডিম আমাদের এ থেকে প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফলেট খুবই দরকারি। একটি শিশুর জন্মগত ত্রূটি দূর করতে খুবই কার্যকরী।
তাছাড়া ডিমের অন্য একটি উপাদান সেলেনিয়াম যা ভিটামিন ই এর সাথে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের শরীরে যদি কোন টিস্যু ক্ষয় হয়ে গেলে তা পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের গ্রুপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ।
৪। ডিম কোলিনের একটি ভালো উৎস
কোলিন হলো আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ।যদি আমরা আমাদের মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখতে চাই। তাহলে আমাদের প্রতিনিয়ত কোলিন গ্রহণ করতে হবে ডিম হলো কোলিনের একটি উকৃষ্ট উৎস। এটি আমাদের মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করে। এটি যেমন আমাদের মস্তিষ্কের কাজ বেশি সুগঠিত রাখে ঠিক তেমনি আমাদের মস্তিষ্কের মেমব্রেন এর গঠন করতে সহায়তা করে। স্নায়ু থেকে পেশিতে সংবেদন অতি দ্রুত পৌঁছাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। দেহে যদি কোলিনের ঘাটতি হয় তাহলে লিভারের গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। আপনি প্রতিদিন একটি ডিম গ্রহণ করলে ৩০০-৩৫০ গ্রাম প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। একই সাথে লিভার, স্নায়ু ও যকৃতকে ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।
৫। ক্যানসার প্রতিরোধে ডিমের উপকারিতা
ভিটামিন ই আমাদের ত্বক এবং কোষের মধ্যে থাকা ফ্রিরেডিকেল ধ্বংস করে আমাদের ক্যান্সার হতে প্রতিরোধ গঠন করে। এছাড়া এটি নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায় । মেয়েদের অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে যদি নিয়মিত ডিম খাওয়া হয় তাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো অতি জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
৬। ডিম হার্ট ভালো রাখে
ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ১২ আমাদের হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে। ডিম অতি পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য হওয়ার দরুন এটি আমাদের হার্টকে অনেক শক্তি প্রদান করে। অন্যদিকে আমাদের হার্টের রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করে এবং শরীরে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৭। চোখের সমস্যা সমাধানে ডিমের উপকারিতা
প্রতিদিন একটি করে সিদ্ধ ডিম চোখের জন্য খুবই উপকারী কারণ প্রতিটি সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ম্যাকুলার নামক উপাদান যা আমাদের চোখের ক্ষয় হার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটির অন্য উপাদান লুটেইন ও জ্যাক্সেন্থিন জীবাণু থেকে চোখকে রক্ষা করে।
৮। ত্বক ও চুলের জন্য ডিমের উপকারিতা
আমরা সকলেই জানি ডিম ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ একটি খাবার এটার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। ভিটামিন ই আমাদের চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কারণ ভিটামিন-ই আমাদের শরীরে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ।স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য ভিটামিন ই দরকার ।এটি যেমন শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমরা সকলেই জানলাম ডিমে কি কি উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু এটা বলাই বাহুল্য যে অতিরিক্ত ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকার না বরং অপকারী। সপ্তাহে চারটি এর অধিক ডিম খাওয়া কোনোভাবেই চিকিৎসকরা মতামত দেন না। তাই আমরা সকলেই ডিম পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করার চেষ্টা করব।